Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Classic Header

{fbt_classic_header}

Popular Posts

শিরোনাম

latest

সরাইলে মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সরাইল ॥ জাতীয় সংসদে গত২৭জুন২০২২ তারিখে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ৩১২ উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদের মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদে স...



সরাইল ॥ জাতীয় সংসদে গত২৭জুন২০২২ তারিখে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ৩১২ উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদের মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। 

সোমবার (০১ আগষ্ট) সরাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ ইসমত আলী'র সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে  উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের  সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর। সাবেক সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাহফুজ আলী প্রমুখ। 

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর লিখিত বক্তব্য বলেন মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে মাননীয় মহিলা সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছে আমরা তার উপর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। 

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহত ইকবাল আজাদের বাবা মৃত আব্দুল খালেক হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করে বিরাট অর্থ সম্পদের মালিক হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় যত বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সবই তার ইশারায়। দেশ স্বাধীনের পর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম ব্যক্তি তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে একটি টয়োটা গাড়ি উপহার দিয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করেন। তাহের উদ্দিন ঠাকুর কে ব্যবহার করে সরাইলের মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী নেতাকর্মীদের নির্যাতন নিপীড়ন শুরু করেন। 

১৯৭৪ সালে অজ্ঞাত আততায়ীর হাতে তিনি নিহত হন। তিনি যদি মৃত্যুবরণ না করতেন তাহলে তাহের উদ্দিন ঠাকুরের সাথে তিনিও বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আসামি হতেন। আর  ইকবাল আজাদের বড় ভাই হুমায়ুন আজাদ কসবা উপজেলার তন্তর এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে। ইকবাল আজাদের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আজাদ শিউলি আজাদের মানষিক  নির্যাতনের কারনে  মৃত্যু বরণ করেন। আর মাননীয় সংসদ সদস্য মহান জাতীয় সংসদে মিথ্যাচার করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। 

তিনি মহিলা সংসদ সদস্যকে উদ্যেশ্য করে আরও বলেন, আপনি আপনার স্বামীর প্রকৃত খুনীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনেন। আমরাও চাই ইকবাল আজাদের খুনের বিচার হউক। 

তিনি বলেন, একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় দেখতে পাই ইকবাল আজাদের খুনের মামলার আসামিরা কেউ আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে পারবেনা। কোন সাংগঠনিক কার্যক্রমে তাদের ডাকা যাবে না। গঠন তন্ত্র বা সংবিধানের কোথাও বলা নাই যে মামলা থাকলে রাজনীতি করা যাবে না। আদালতে যতদিন পর্যন্ত অপরাধী প্রমানীত না হয়, ততদিন পর্যন্ত কাউকে অপরাধী বলা যাবে না। মামলা হলেই যে রাজনীতি করা যাবে কোন সংবিধানে আছে তার প্রশ্ন।

আগামী সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে উনি কি প্রার্থী হবেন?  জবাবে রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, আগামী উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে আমি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী। সভাপতি যে আসুক আমার সমস্যা নাই।