ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন। রোববা...
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন।
রোববার (৩১ জুলাই) সরাইল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অসন্তোষ প্রকাশ করেন চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি পদপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও সরাইল প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য লায়ন মোঃ মাসুদূর রহমান , সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোঃ আবুল হোসেন ও মোঃ ফারুক মিয়া। যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাসেল মিয়া।এছাড়াও সরাইল প্রেসক্লাবের সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সরাইল প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা । আমি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করায় চুন্টা ইউনিয়নের স্বাধীনতা বিরোধী শেখ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে আমার বাড়ি ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। তার ছেলে শেখ হাবিবুর রহমান কিভাবে আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়? এছাড়া বিএনপি পরিবারের লোক কিভাবে সাধারণ সম্পাদক হয় এইটা আমার বোধগম্য নয়। আমি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, আমার অনুপুস্থিতে কিভাবে কমিটি করা হয়েছে। ২৯ জুলাই আওয়ামীলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। সেখানে সভাপতি হিসেবে আমাকে অবগত করা হয়নাই। এখানে টাকার বিনিময়ে ভোট বিহীন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যা সম্পুর্ন অবৈধ আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা এই ইউনিয়ন কমিটি মানি না, অবিলম্বে এই কমিটি প্রত্যাহার করা হউক। পুনরায় আওয়ামী ঘরনার লোকদের কমিটিতে আনা হউক। না হয় এই রাজাকারের উত্তরসুরিদের জন্য সরাইলে আওয়ামীলীগের নাম গন্ধ থাকবে না। এই কমিটি দিয়ে চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কে ধ্বংসের পায়তারা করা হচ্ছে।
লায়ন মোঃ মাসুদূর রহমান বলেন, আমি সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। আমরা বলছি সভাপতি অসুস্থ, সভাপতি কে ছাড়া কিভাবে সম্মেলন হয়? আগের কমিটিকে বাদ দিয়ে নতুন করে ভোটের মাধ্যমে কমিটি দেয়ার জন্য। তারা আমাদের কথার কোন মূল্য দেয় নাই। উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা বলছে এখানে ভোট হবে না। তারা টাকার বিনিময়ে কমিটি ঘোষণা করেছে। আমরা যারা আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি তাদের উপেক্ষিত করা হয়েছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসমত হোসেন বলেন, সারা উপজেলাতেই বিএনপি ও রাজাকারের স্বজনদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। প্রকৃত আওয়ামীলীগ কে বাদ দিয়ে সারা উপজেলায় কমিটি করা হয়েছে। আওয়ামিলীগ কে ডুবানোর জন্য বিরোধীচক্র একটা নীলনকশা তৈরি করেছে।