সরাইল প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেইন উন্নীত করার কাজে সড়ক সংলগ্ন খালের উপর সরাইল-আশুগঞ্জের সবুজ প্রকল্পের সেচের পানি...
সরাইল প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেইন উন্নীত করার কাজে সড়ক সংলগ্ন খালের উপর সরাইল-আশুগঞ্জের সবুজ প্রকল্পের সেচের পানি বিভিন্ন জায়গায় বালু দিয়ে ভরাট করে রাখায় পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেচের পানি পাচ্ছেনা কৃষকরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার কয়েকটি ইউনিয়নের ফসলের মাঠে প্রায় সাড়ে চার হাজার একর ইরি ধানের চারা রোপন করার বাকী রয়েছে। আশুগঞ্জ সবুজ প্রকল্পের সেচের পানি না পাওয়ায় জামির মাঠি শুকিয়ে চৌচির হয়ে যাচ্ছে।
তারপরও গত এক মাসে সরাইল-ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে পানি পৌঁছেনি। এ কারনে কয়েক হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি রয়েছে। এ সব জমিতে ধান রোপণ করার জন্য বীজতলা (অথাৎ ধানের চারা মরে যাচ্ছে) নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
গতকাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক এলাকায় চারা রোপণের ১৫,২০ দিন পেরিয়ে গেলেও সেচ দিতে না পারায় চারা শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। এলাকার কৃষক জমি প্রস্তত করে বসে থাকলেও এসব এলাকায় এখনও পানি যায়নি। এসব জমিতে বোরো আবাদ করতে পারবেন কিনা এ নিয়েও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন হাজার হাজার কৃষক।
সরাইলের শান্তিনগরের কৃষক নায়েব আলী জানান, জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজে জন্য আমরা পানি পাচ্ছি না । আমাদের হাজার হাজার একর জমি অনাবাদি রয়েছে। ইউ এন ও আমাদের লামচাম বুঝিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। সাবেক এমপি আমাদের যথা সময়ে পানি দিয়েছে। আমরা সঠিকভাবে ফসল করেছি।
সরাইলের কৃষক আলী আকবর জানান, সবুজ প্রকল্পের পানি মহাসড়কে উন্নীতকরণ কারনে আমরা পানি পাচ্ছি না। দ্রুত পানি ব্যাবস্থার আহবান জানান।
সরাইলের বেড়তলার কৃষক আলা উদ্দিন জানান গত বছর ঠিকমত পানি পাইছিলাম এবছর বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃপক্ষের গাফলতির কারনে আমাদের এ অঞ্চলের পানি আসেনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ একরাম হোসেন জানান, এখন অল্প সময়ে পানি আসলে ও কৃষক লাভবান হবে না আশানুগ ফসল পাবে না । এ পানি কৃষকের কোন লাভ হবে না । আউশ পনোধনা দিয়ে কৃষকদের পুষিয়ে দেয়ার চিন্তা করছি আমরা।